সমাজ পরিবর্তনের অন্ধ আবেগ। সকল সমাজেই পাপ ও জুলুম বিদ্যমান। পাপাচারী, জালিম ও ধর্মহীনদের সংখ্যা সবসময়ই ধার্মিকদের চেয়ে বহুগুণ বেশি। আবেগী ধার্মিক মানুষ, বিশেষত যুবক, এ সকল অন্যায় দূর করে ‘আদর্শ’ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। স্বাভাবিকভাবে ইলম প্রসার ও দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন ‘কষ্টকর’, ‘দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ’ ও ‘অসম্ভব’ বলে মনে হয়। এজন্য ‘জিহাদ’ বা ‘ইমাম মাহদী’ বিষয়টি খুবই আকর্ষণীয় বলে গণ্য করেন অধিকাংশ আবেগী ধার্মিক মানুষ। ফলে এ জাতীয় কোনো কথা শুনলে বাছবিচার না করেই শরীক হয়ে যান তারা।
মুমিনের দায়িত্ব এ বিষয়ক কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনা সরল অর্থে বিশ্বাস করা। কিয়ামতের আলামতগুলো বর্ণনামূলক। এগুলো ঘটবে বলে রাসূলুল্লাহ সা. জানিয়েছেন। ঘটার পরে বিশ্বাস করা ছাড়া মুমিনের অন্য কোনো দায়িত্ব নেই। ঈসা (আ) বিষয়ক সকল ভবিষ্যদ্বাণী যখন প্রকাশিত হবে, তখন সে যুগের মুমিনগণ বলবেন, আল-হামদু লিল্লাহ, মুহাম্মাদ (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, কোনো আলামত পরিপূর্ণ প্রকাশিত হওয়ার আগে তা নিয়ে গবেষণা-বিতর্ক বা বিশ্বাস বিভ্রান্তির দরজা উন্মুক্ত করে।
উম্মাতের মধ্যে মেহেদী হওয়ার দাবিদার শত শত হলেও নিজেকে ঈসা ইবন মরিয়ম বলে দাবি করার মত পাগল পূর্বে পাওয়া যায় নি। কারণ সকল হাদীসেই বলা হয়েছে যে, তিনি মরিয়মের বেটা ঈসা। কাজেই অন্য কোনো ব্যক্তি একেবারে বদ্ধ পাগল না হলে নিজেকে মরিয়মের বেটা বলে দাবি করতে পারে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেকে মরিয়মের বেটা ঈসা বলে দাবি করে।
কেউ কেউ বলেছেন: আমরা তো ফিকহী বিষয়ে হানাফী, আকীদায় আশআরী বা মাতুরিদী ও তরীকায় কাদিরী, চিশতী বা নকশবন্দী। আমরা কি ফিকহ, আকীদা ও তরীকা সকল বিষয়ে হানাফী হতে পারি না? ইমাম আবূ হানীফার কি কোনো আকীদা ও তরীকা ছিল না? থাকলে তা কী ছিল?
আমাদের সমাজে প্রচলিত অনেক আকীদা এক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর ছাত্রদের আকীদার সম্পূর্ণ উল্টো। যেমন, ‘মহান আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান’-এ আকীদাকে ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর ছাত্রগণ জাহমী ফিরকার কুফরী আকীদা এবং সর্বেশ্বরবাদেরই ভিন্নরূপ বলে গণ্য করেছেন।… বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন!
Sign In
Create New Account